সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী বাস চলাচল। খুলনা রুটে চলছে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। ফলে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
এদিকে কাল দুপুরে খুলনা নগরের সোনালী ব্যাংক এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।
পরিবহন বন্ধ থাকায় আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা নদীপথে খুলনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে অনেক নেতা-কর্মী লঞ্চ দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরার মোট ৪টি রুটের মধ্যে খুলনা বাদে সব রুটে পরিবহন চলাচল করছে। শুক্রবার ভোর থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তালার নগরঘাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪৫) জানান, আমার আম্মা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। আজ তার অপারেশন। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ। চরম বিপদে পড়েছি।
সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল করিম সাবু বলেন, সাতক্ষীরায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। তবে বাস মালিক ও শ্রমিকরা নিরাপত্তাজনিত কারণে খুলনা রুটে বাস বন্ধ রেখেছে। যদি কোন বাস মালিক বাস চালাতে চায় সেক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, খুলনার সমাবেশ বাধা দিতে সরকার পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বাস বন্ধ করে দেবে এটা আমরা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। বেশির ভাগ নেতা-কর্মী রওনা হয়েছে, পায়ে হেঁটে অথবা নদীতে সাঁতার কেটে আজ খুলনাতে অসংখ্য নেতা-কর্মী পৌঁছে যাবে। তবে সাতক্ষীরায় বিএনপির কোন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়নি।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, অহেতুক কোন মানুষকে পুলিশ হয়রানি করবে না। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।